আব্দুর রহমান ঈশান: বড় ধরনের যানজট না থাকায় এবারের ঈদযাত্রায় স্বস্তিতেই বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষেরা। উত্তরবঙ্গমুখী ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু এবং দক্ষিণবঙ্গে যাওয়ার পথে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে কিছুটা ধীর গতি থাকলেও, দীর্ঘ যানজট নেই। সদরঘাট এবং কমলাপুর রেল স্টেশনে ভিড় বাড়লেও সময়মতো চলছে লঞ্চ ও ট্রেন।
শুক্রবার (২৮মার্চ) খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাড়ির চাপ দ্বিগুণ হয়েছে। চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত চারলেন সুবিধা থাকায় কোনো যানজট হয়নি। তবে এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত চারলেন প্রকল্পের কাজ চলছে। এই ১৩ কিলোমিটার রাস্তায় চারলেন নেই। এখানে যানবাহনের গতি ধীর।
পদ্মা সেতুর মুন্সিগঞ্জ প্রান্তের টোল প্লাজায় সকালে মোটরসাইকেল যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিলো। এছাড়াও ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দূরপাল্লার যানবাহনের চাপও বেড়েছে। পদ্মা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সায়াদ বিন বলেন, ‘এবারের ঈদযাত্রা এক্সপ্রেসওয়েতে একেবারেই নির্বিঘ্ন। এছাড়া পদ্মা সেতু টোল প্লাজায় দ্রুত টোল আদায়ের জন্য সাতটি বুথ সচল রাখা হয়েছে। তাই কারও কোনো ভোগান্তি নেই।’
তবে সদরঘাটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। তাই নৌপথে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সদরঘাট টার্মিনালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক মোবারক হোসেন বলেছেন, ‘নির্ধারিত সময়ে পন্টুন থেকে লঞ্চ ছাড়ছে। এ ব্যাপারে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে।’
অন্যদিকে রেলপথে ২৪ মার্চ থেকে বিশেষ ঈদযাত্রা শুরু হওয়ায়, প্রথমদিকেই অতিরিক্ত ভিড় ছিলো। এখনও কিছুটা ভিড় থাকলেও, সময়মতো ট্রেন যাচ্ছে। টিকেট ছাড়া কাউকে প্ল্যাটফর্মে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রাক্ষাকারী বাহিনী।